Skip to main content

উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক ব্লগারের পোস্টের জবাব।

অাসসালামু অালাইকুম।#Momenshahi version এ অাপনাদের অাবারও স্বাগতম।অাজ অাবারও নতুন এক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গি।অাজকে অামি www.jewelaich.blogspot.com এর মালিক এক উগ্র হিন্দু ব্লগারের পোস্টের জবাব দিতে চাই।তিনি তার পোস্টে অামার নবীকে কীভাবে অপমান ও সরলমনা মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে তা দেখতে তার লেখা পোস্টটির কিছু অংশ পরুন।

তিনি বলেছেন:

সবগুলোর যুক্তি খণ্ডন যদি মুসলমানরা করতে পারে ইসলাম গ্রহন করে আমি মুসলমান হয়ে যাবো। কাপুরুষের মতো পেছন থেকে ছুরি মেরে আইডি ব্লক করার জন্য রিপোর্ট না করে পুরুষ হওয়ার জন্য তোদেরকে একটা সুযোগ দিলাম, চেষ্টা করে দ্যাখ।
অনেকেই জানেন যে, কাবা একসময় মন্দির ছিলো এবং তাতে ৩৬০টি দেব-দেবীর মূর্তি ছিলো, কুরাইশদের সাথে ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, মাত্র ২ বছরের মাথায় সেই চুক্তি ভঙ্গ ক’রে, কুরাইশদেরকে কোনো পূর্ব সিগন্যাল না দিয়ে অর্থাৎ কুরাইশদের অপ্রস্তুত অবস্থায়, মুহম্মদ জনশক্তির জোরে প্রথমে রাতের বেলা মক্কা আক্রমন ক’রে কাবা দখল করে এবং পরদিন নিজের হাতে কাবার মধ্যে থাকা মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এই ৩৬০টি দেব-দেবীর মধ্যে প্রধান দেবতা ছিলো মহাদেব শিব।


এবার অামি সাখাওয়াত জঙ্গি  তার এই পোস্টের দাঁতভাঙা জবাব দিতে চলেছি।প্রথমত কাবাঘর কোনো মন্দির ছিল না।অাইয়্যামে জাহিলিয়াতের জুগে মুসলমানরা পথভ্রষ্ট হয়ে(কুরাইশরা)কাবাঘরে মূর্তি বসিয়ে ছিল।দ্বিত্বীয়ত,অামার নবী মুহাম্মদ (সা:)কুরাইশদের সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেননি।বরং কুরাইশরাই চুক্তি ভঙ্গ করেছিল।হুূদায়বিয়ার সন্ধির শর্তানুযায়ী মদীনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে এক পক্ষ অন্য কোন তৃতীয় পক্ষের সহিত মৈত্রি সূত্রে অাবদ্ধ হলে দ্বিতীয় পক্ষ ঐ তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ  ঘোষনা করতে পারবেনা।কিন্তু ৮ম হিজরীতে কুরাইশগন এই শর্ত ভঙ্গ করল এবং মুসলমানদের সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্কে অাবদ্ধ বনু খাজ্জার গোত্র অাক্রমন করে ১২০ জন লোককে হত্যা করে ফেলল।এ খবর নবী জানতে পেরে কুরাইশদের বলেন"অামাদের সাথে মৈত্রি চুক্তিবদ্ধ গোত্রের যে ক্ষতি করা হয়েছে তোমরা তা পূরন করে দাও অথবা তোমরা অত্যাচারি গোত্রের সঙ্গ পরিত্যাগ কর।অার যদি এই শর্তের কোনোটাই পালন না কর তবে ঘোষনা করে দাও যে হুদায়বিয়ার সন্ধি ভেঙে গিয়েছে।"

কুরাইশরা এ পত্র পেয়ে ন্যায়ের পথ অবলম্বনের পরিবর্তে ক্রুদ্ধ হয়ে তারা নবীকে জানাল যে তারা শেষ শর্তটি গ্রহন করেছে(হুদায়বিয়ার সন্ধি ভেঙে দিয়েছে)।এমনকি নবী দেখলেন কুরাইশগন মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে অাগ্রহী।ফলে তিনি যুদ্ধের পথে পা বাড়ালেন।তৃতীয়ত,নবী তার হাতের অাঘাত করা দ্বারা মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলেননি।তিনি কাবা গৃহের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে উট থেকে অবতরণ করে ভিতরে প্রবেশ করলেন।তারপর হাজরে অাসওয়াদ(কালোপাথর)কে চুম্বন করে তাওয়াফ সমাধা করলেন,তারপর কাবাগৃহে রক্ষিত ৩৬০টি মূর্তির দিকে দৃষ্টিপাত করলেন।একে একে প্রতিটি মূর্তির দিকে এক খন্ড কাষ্ঠ দ্বারা ইশারা করে পাঠ করে লাগলেন,"কুল জা-য়াল হাক্কু অ-যাহাকাল বাত্বিলু,ইন্নাল বাত্বিলা কানা যা-হুকা(অর্থ:সত্য অাগমন করেছে এবং অসত্য বিলীন হয়েছে।নিশ্চয়ই বিলিয়মান)"।একেকটি মূর্তির পানে ইশারা করে যখন রাসূল(সা:)এই অায়াত শরীফ পাঠ করছিলেন,সঙ্গে সঙ্গে সেই মূর্তিগুলো লুটিয়ে পরে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল। এভাবে বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা:)মক্কা প্রবেশ করে কাবা গৃহকে পবিত্র করলেন।চতুর্থত,অামি ঐ হিন্দু উগ্র ব্লগারকে বলতে চাই অাপনার মহাদেব কেন চুরমার হয়ে গেল?তিনি মুহাম্মদকে বারণ করলেন না কেন?মিয়া বুইঝা শুইন্না বইলেন অান্তাজি কতা কইবেননা।


Comments

Popular posts from this blog

মুরতাদ কাকে বলে ও কী কারনে মানুষ মুরতাদ হয়।

অাসসালামু অালাইকুম।#Momenshahi Version এ অাপনাদের অাবারও স্বাগতম ।অাজ অাবারও নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গী।অাজকে অামরা জানব মুরতাদ কাকে বলে ও কী কারনে মানুষ মুরতাদ হয়। মুরতাদ কাকে বলে? মুরতাদ শব্দের শাব্দিক অর্থ হল- বিমুখ হয়েছে বা ফিরে গিয়েছে এমন। এর মূল মর্ম হল ইসলাম ত্যাগ করা বা ইসলামের কোন মৌলিক আকিদা বা বিধানকে মানতে অস্বীকার করা, বিংবা তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা অথবা ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের অবমাননা করা, যা অন্তরের ভক্তিশূন্যতা ও শ্রদ্ধাহীনতার আলামত বহন করে। এককথায় ঈমান বিনষ্টকারী যে কোন কুফরী-শিরকী আকিদা বা বিশ্বাস পোষণ করা, অথবা এ জাতীয় কোনো কথা বা কাজে লিপ্ত হওয়ার নামই হল “মুরতাদ হওয়া”। সূত্র- মাসিক আল কাউসার।   কী কী কারণে ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে যায়?   যে সব কারণে ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে যায় এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে হতে নিম্নোক্ত কয়েকটি কারণ উল্লেখ কারা হলো। §  আল্লাহ তায়ালার শানে বেয়াদবি করা। §  ইসলামের শিআর তথা প্রতিকসমূহ যেমন- কুরআন মাজীদ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহবী...

দেখুন কীভাবে হিন্দু ব্লগাররা সরলমনা মুসলমানদের ইমান ধ্বংস করছে।

অাস্সালামু অালাইকুম।#Momenshahi version এ অাপনাদের স্বাগতম। অাজ অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গি হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।দেখুন কীভাবে হিন্দু ব্লগাররা সরলমনা মুসলমানদের ইমান ধ্বংস করছে।শুধু ব্লগেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি ফেসবুকেও মিথ্যাচার করা শুরু করেছে।তাই সরলমনা মুসলমানদের সাবধান করতেই অাজকে এই পোস্ট লেখা।তাহলে চলুন জেনে নিই তাদের মিথ্যাচারগুলি। এরই সাথে অামি সাখাওয়াত জঙ্গি চেষ্টা করছি তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে। ফেসবুকে ও ব্লগে ব্লগার হিন্দুদের বহুল প্রচলিত মিথ্যাচার ভরা একটি পোষ্ট, যেটায় তারা দাবী করে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা যারা যারা অনুবাদ করেছে তারা সকলেই নাকি হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছে, কিন্তু মুসলিমদের কোরান অনুবাদকারী গিরিশচন্দ্র ইসলাম গ্রহন করেনি। এটা দ্বারা তারা বোঝাতে চায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়ে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে, কিন্তু কোরান পড়ে তা হয় না। আসুন তাদের মিথ্যাচারগুলো দেখি। ➤প্রথম মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম শ্রীমদ্ভগবত গীতাকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ । পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তর হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন । ➟জবাবঃ সর্বপ্রথম ভগবত গীতাকে ...