Skip to main content

নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারীতা

অাসসালামু অালাইকুম।#Momenshahi Version এ অাপনাদের অাবারও স্বাগতম।মহান অাল্লাহর একটি অফুরন্ত নিয়ামত হলো নামায।তাই অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গি নিয়ে এসেছি নামায সম্পর্কিত একটি পোস্ট।এই পোস্টে অামি অাপনাদের সাথে নামাযের বৈঙ্গানিক উপকারিতা নিয়ে অালোচনা করব।


নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারীতা:
১) নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।

২) আমরা যখন নামাজে দাঁড়াই তখন আমাদের চোখ যায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে বা সিজদাহর জায়গায় স্থির অবস্থানে থাকে, ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

৩) নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।

৪) নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।
৫) নামাজ মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলাঙ্গতা লোপ পায়।

৬) নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। যেমন, ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয়; এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭) নামাজে ওজুর সময় মুখমণ্ডল ৩ বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮) ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিষ্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে এক প্রকার মেসেস তৈরি হয়; ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলি রেখা কমে যায়।
৯) কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে; এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
১০) নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১) কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয়; ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।
তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ।

Comments

Popular posts from this blog

মুরতাদ কাকে বলে ও কী কারনে মানুষ মুরতাদ হয়।

অাসসালামু অালাইকুম।#Momenshahi Version এ অাপনাদের অাবারও স্বাগতম ।অাজ অাবারও নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গী।অাজকে অামরা জানব মুরতাদ কাকে বলে ও কী কারনে মানুষ মুরতাদ হয়। মুরতাদ কাকে বলে? মুরতাদ শব্দের শাব্দিক অর্থ হল- বিমুখ হয়েছে বা ফিরে গিয়েছে এমন। এর মূল মর্ম হল ইসলাম ত্যাগ করা বা ইসলামের কোন মৌলিক আকিদা বা বিধানকে মানতে অস্বীকার করা, বিংবা তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করা অথবা ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের অবমাননা করা, যা অন্তরের ভক্তিশূন্যতা ও শ্রদ্ধাহীনতার আলামত বহন করে। এককথায় ঈমান বিনষ্টকারী যে কোন কুফরী-শিরকী আকিদা বা বিশ্বাস পোষণ করা, অথবা এ জাতীয় কোনো কথা বা কাজে লিপ্ত হওয়ার নামই হল “মুরতাদ হওয়া”। সূত্র- মাসিক আল কাউসার।   কী কী কারণে ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে যায়?   যে সব কারণে ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে যায় এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে হতে নিম্নোক্ত কয়েকটি কারণ উল্লেখ কারা হলো। §  আল্লাহ তায়ালার শানে বেয়াদবি করা। §  ইসলামের শিআর তথা প্রতিকসমূহ যেমন- কুরআন মাজীদ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহবী...

দেখুন কীভাবে হিন্দু ব্লগাররা সরলমনা মুসলমানদের ইমান ধ্বংস করছে।

অাস্সালামু অালাইকুম।#Momenshahi version এ অাপনাদের স্বাগতম। অাজ অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গি হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।দেখুন কীভাবে হিন্দু ব্লগাররা সরলমনা মুসলমানদের ইমান ধ্বংস করছে।শুধু ব্লগেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি ফেসবুকেও মিথ্যাচার করা শুরু করেছে।তাই সরলমনা মুসলমানদের সাবধান করতেই অাজকে এই পোস্ট লেখা।তাহলে চলুন জেনে নিই তাদের মিথ্যাচারগুলি। এরই সাথে অামি সাখাওয়াত জঙ্গি চেষ্টা করছি তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে। ফেসবুকে ও ব্লগে ব্লগার হিন্দুদের বহুল প্রচলিত মিথ্যাচার ভরা একটি পোষ্ট, যেটায় তারা দাবী করে যে, তাদের ধর্মগ্রন্থ ভগবত গীতা যারা যারা অনুবাদ করেছে তারা সকলেই নাকি হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেছে, কিন্তু মুসলিমদের কোরান অনুবাদকারী গিরিশচন্দ্র ইসলাম গ্রহন করেনি। এটা দ্বারা তারা বোঝাতে চায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়ে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করে, কিন্তু কোরান পড়ে তা হয় না। আসুন তাদের মিথ্যাচারগুলো দেখি। ➤প্রথম মিথ্যাচার, সর্বপ্রথম শ্রীমদ্ভগবত গীতাকে উর্দু ভাষায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ মেহেরউল্লাহ । পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তর হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন । ➟জবাবঃ সর্বপ্রথম ভগবত গীতাকে ...

উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক ব্লগারের পোস্টের জবাব।

অাসসালামু অালাইকুম।#Momenshahi version এ অাপনাদের অাবারও স্বাগতম।অাজ অাবারও নতুন এক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি অামি সাখাওয়াত জংজঙ্গি।অাজকে অামি www.jewelaich.blogspot.com এর মালিক এক উগ্র হিন্দু ব্লগারের পোস্টের জবাব দিতে চাই।তিনি তার পোস্টে অামার নবীকে কীভাবে অপমান ও সরলমনা মুসলমানদের বিভ্রান্ত করেছে তা দেখতে তার লেখা পোস্টটির কিছু অংশ পরুন। তিনি বলেছেন: সবগুলোর যুক্তি খণ্ডন যদি মুসলমানরা করতে পারে ইসলাম গ্রহন করে আমি মুসলমান হয়ে যাবো। কাপুরুষের মতো পেছন থেকে ছুরি মেরে আইডি ব্লক করার জন্য রিপোর্ট না করে পুরুষ হওয়ার জন্য তোদেরকে একটা সুযোগ দিলাম, চেষ্টা করে দ্যাখ। অনেকেই জানেন যে, কাবা একসময় মন্দির ছিলো এবং তাতে ৩৬০টি দেব-দেবীর মূর্তি ছিলো, কুরাইশদের সাথে ১০ বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও, মাত্র ২ বছরের মাথায় সেই চুক্তি ভঙ্গ ক’রে, কুরাইশদেরকে কোনো পূর্ব সিগন্যাল না দিয়ে অর্থাৎ কুরাইশদের অপ্রস্তুত অবস্থায়, মুহম্মদ জনশক্তির জোরে প্রথমে রাতের বেলা মক্কা আক্রমন ক’রে কাবা দখল করে এবং পরদিন নিজের হাতে কাবার মধ্যে থাকা মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলে। এই ৩৬০টি দেব-দেবীর মধ্যে প্রধান দেবতা ছিল...